বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান না করে ঈদুল আজহার পূর্বে অপ্রতুল সহায়তা দেওয়ার প্রতিবাদে এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলমের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিলের শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে যশোরের চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১২টি গভীর নলকূপের আওতাধীন জমি ও এর বাইরের জমির ধান ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষ থেকে ২৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রথম স্মারকলিপি দেওয়া হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা জমা দেওয়া হয়। ৮ মে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য আবেদন জানানো হয়। এরপর ২৫ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছিল।
কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ জানায়, তাদের আবেদন বিবেচনা না করে ঈদুল আজহার আগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ২০ কেজি করে খয়রাতি চাল দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ কৃষকরা খয়রাতি সহায়তা চায়নি। তারা তাদের ফসলের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল। এছাড়াও, তাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হয়নি। তালিকাভুক্ত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকই চাল পাননি। যে কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এই কারণে কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ আবারও প্রধান উপদেষ্টার দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সহায়তা পাননি, তাদের দ্রুত সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতি যশোরের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু, সদস্য শাহজাহান আলী, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি যশোরের নেতা আমিনুর রহমান হিরু এবং মিজানুর রহমান প্রমুখ।