স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ

দেশ ও দেশের বাইরের মানুষ এক নামে চেনে সাগরদাঁড়ি গ্রামটি। যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। নামকরণ করা হয়েছে ‘সাগরদাঁড়ি বায়তুল মামুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’। ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত মসজিদটির স্থাপত্যশৈলীতে মুগ্ধ দর্শনার্থী ও মুসল্লিরা। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লীরা এই মুসজিদে নামাজ আদায় করেন।

বাংলা সাহিত্যের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি গ্রাম। এই গ্রামের চৌরাস্তার পর্যটন মোড় পার হলেই চোখে পড়ে ‘সাগরদাঁড়ি বায়তুল মামুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’। ২০২২ সালে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।

মসজিদটি নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব আমির আলী। রাস্তার পাশে উন্মুক্ত মাঠের পাশ ঘেসে গড়ে উঠা এই মসজিদের ব্যয়ভার বহন করেছেন আমেরিকা প্রবাসী ডা. আবুল হোসেন। ডা. আবুল হোসেনের মৃত্যুর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার সহধর্মিনী রাশিদা হোসেন মোড়ল মসজিদটি উদ্বোধন করেন। মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা।

ব্যক্তিগত অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে রাশিদা হোসেন বলেন, তার স্বামী আবুল হোসেন মোড়লের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আবুল হোসেন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এতিমখানা ও মসজিদ তৈরি করেছেন। বায়তুল মামুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণে যাদের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আমির আলী। তিনি এই মসজিদের জায়গা দান করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনসহ এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগিতা করেছন।

সাগরদাঁড়ী পর্যটন মোড়ের ব্যবসায়ী শেখ মোস্তফা বলেন, মসজিদ তৈরিতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। দুই বছর পর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এলাকার ভিতরে এই মসজিদটি অনেক সুন্দর ও সুচারুভাবে তৈরি করা। রাস্তার পাশে এত সুন্দর মসজিদ যে কারো দৃষ্টি আঁটকে যায়।

আরেক মুসল্লি আব্দুর রহমান বলেন, সাগরদাঁড়ী একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে যে মসজিদটি তৈরি হয়েছে তা নিদর্শন হয়ে থাকবে। এখানকার পরিবেশ সুন্দর। জুম্মার নামাজসহ দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে হয়।

Share.
Exit mobile version