বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগরে শ্বশুরবাড়ির শিরীষগাছ থেকে শাকিল আহমেদ পরামানিক ওরফে শাকিল (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাঙ্গাগেট লক্ষীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শাকিল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম পরামানিকের ছেলে। তিনি অভয়নগরে নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় সরদার মিল ঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে অভয়নগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে খন্দকারপাড়ার শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেলের মেয়ে সিনথিয়ার সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাকিল শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। সাফওয়ান নামে তাদের ঘরে চার বছর বয়সি একটি ছেলে রয়েছে। এক বছর শাকিলের সঙ্গে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক কারবারিদের চলাচল করতে দেখা গেছে।
নিহতের স্ত্রী সিনথিয়া বেগম বলেন, ‘সোমবার রাত ১০ টার দিকে জরুরি কাজের কথা বলে এক হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শাকিল। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি শুরু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পেছনে একটি শিরীষগাছে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় শকিলের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তার আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
শাকিলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেল বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঘরজামাই হিসেবে আমার বাড়িতে থাকত শাকিল। সম্প্রতি সে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। তবে পুলিশি তদন্তের পর সবকিছু পরিস্কার হবে।’
এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ‘খ) রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’