শ্যামনগর প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একাদশ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান সাক্ষীর বিরুদ্ধে উল্টো ধর্ষণের মামলা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারী রাতে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাদি হয়ে দ্বাদশ শ্রেইীতে পড়ুয়া তার কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শ্যামনগর থানায় ওই মামলা করেন। এ ঘটনায় আসামি মোস্তাফিজুর রহমান বকুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলা মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে আসামিরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা করেছে।
জানা যায়, উপজেলার সেন্ট্রাল কালিনগর গ্রামের রেজাউল করিম তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গতবছরের ১০ জুলাই প্রতিবেশী মাহফুজুর রহমানের ছেলে মুনতাসির মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বকুলকে প্রধান সাক্ষী করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রথম থেকেই আসামি পক্ষ মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকে বাদীকে। তাতে ব্যর্থ হয়ে হয়রানীমূলক মামলায় জড়ানোর হুমকি দিলে রেজাউল করিম প্রধান সাক্ষী মোস্তাফিজুর রহমান বকুল শ্যামনগর থানায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে গত ৮ জানুয়ারি সেন্ট্রাল কালিনগর গ্রামের মরিয়ম বেগমের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া বিবাহিতা মেয়ে প্রেমিক খানজাহান আলীর সাথে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারী বাদী হয়ে ১১ জানুয়ারি খানজাহান আলীসহ মোস্তাফিজুর রহমান বকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন যার নং ২০।
মরিয়ম বেগম জানান কলেজ থেকে ফেরার পথে খানজাহান আলী তার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। বিকেলের দিকে বাড়িতে ফিরে এলেও স্বামীর বাড়িতে না যেয়ে মোস্তাফিজুরের পরামর্শমত প্রেমিকের সাথে চলে যায়।
ওই মেয়ের স্বামী রিপন গাজী বলেন আগের বিয়ের ঘটনা লুকিয়ে তার সাথে মেয়ের বিয়ে দেন মরিয়ম বেগম। ওই দিন শ^শুরবাড়িতে তার উপিস্থিতিতেই প্রেমিক খানজাহান আলীর সাথে পিতার-মাতার চোখের সামনে দিয়ে তার স্ত্রী চলে যায়।
আটক মোস্তাফিজুর রহমানের বড় ভাই হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন ধর্ষণ মামলা মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে আসামিরা তাদের নিকটাত্মীয় মরিয়ম বেগমকে প্রভাবিত করে মামলা করিয়েছে। জামাই রিপন গাজী নিজে প্রেমিকের সাথে তার স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই মামলা করা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন তার স্বামীকে কথা বলার জন্য থানায় ডেকে নিয়ে পরবর্তীতে ধর্ষণের একটি মামলায় তাকে গ্রপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে স্বামীর দ্রত মুক্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে প্রকৃত সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস