শ্যামনগর সংবাদদাতা 
 শ্যামনগর উপজেলার মীরগাং গ্রামের দীনমজুর জঙ্গল ভাঙ্গি ও তার পরিবার ধনাঢ্য দিলীপগং ও রঘুনাথের করা মামলায় কারাভোগের পর বাড়িতে আসার পর আবারও মামলার হুমকিতে দিশাহারা। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছেন। এ ঘটনায় মরাগাং গ্রামের গরিব অসহায় নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর আয়োজনে সোমবার বিকেল ৩ টায় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন সুন্দরবন বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রিয়াংকা ভাঙ্গি, জঙ্গল ভাঙ্গি,বাটুল বাবু, কেশব বাবু, জব্বার গাজী, আলমগীর গাজী, মিজানুর মোড়ল,ও সিরাজুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। বক্তাগণ বলেন, জঙ্গলের মা পাচিবালার নামে ১৯৯৪ সালে ৩ বিঘা জমি বন্দোবস্ত নেন। বর্তমান পাচিবালার নামে মাঠ জরিপের রেকর্ড, মিটিশন ও খাজনা রশিদ কাটা রয়েছে। ওই জমি স্থানীয় ধনাঢ্য তপন, দিলীপ ও কমলেশ গাইন জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশম মোড়লসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বহুবার বিচার সালিশ করলেও তা না মেনে একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ জমির উপর পাকা ভবন করে।
এ ঘটনায় পাচিবালার পক্ষে জঙ্গল ভাঙ্গি ও প্রিয়াংকা ভাঙ্গি শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দরখস্ত দিলে তিনি বিষয়টি উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তার উপর দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টি মাপ জরিপ পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন সহকারী ভূমিকে নির্দেশ দেন। তিনি কয়েকবার উভয় পক্ষকে ভূমি অফিসে ডাকলে তপন গং কোন কাগজপত্র দেখাতে না পেরে জমি অন্য জায়গা থেকে দেয়ার আশ্বাস দিয়েও তালবাহানা করায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মাপ জরিপ করে বন্দোবস্তকৃত জমির দখল বুঝিয়ে দিলে ১৯ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা ও জঙ্গল ভাঙ্গি নেটজাল দিয়ে জমি ঘিরে নেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দিলীপ ও তার প্রধান সহযোগী ও রঘুনাথ ষড়যন্ত্র করে নিজ রান্নাঘরে আগুন দিয়ে জঙ্গল ভাঙ্গি ও তার পরিবারের চার জনের নামে থানায় মামলা করে। ওই মামলায় জামিনে আসার পরা প্রতিপক্ষ আবারো হুমকি ধামকিসহ দেশছাড়া করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। মানববন্ধন থেকে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিরীহ ভুক্তভোগীরা।
 
 