শ্যামনগর সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় পুলিশের অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করা হয়। সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। লুটপাট শেষে রাত ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা থানা এলাকা ছেড়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে হামলাকারীদের আক্রমণের মুখে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় কিছুসংখ্যক গ্রামবাসীর সহায়তায় থানা কম্পাউন্ডের পেছনের দেয়াল টপকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায় পুলিশ।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে বিকেল ৪টার পরে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে লোকজন শ্যামনগর সদরে পৌঁছান। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন উপজেলা সদরে একাধিক মিছিল ও পথসভা করে। মিছিল শেষে আন্দোলনকারীরা চলে যাওয়ার পর একদল দুর্বৃত্ত শ্যামনগর থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে আগুন থানা ভবনের কাছে পৌঁছে গেলে তারা ভবনে ঢুকে হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা পেছনের দেয়াল টপকে বাইরে চলে যান। এ সময় অনেকে থানা ভবনে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট শুরু করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, দুর্বৃত্তরা প্রতিটি কক্ষে ঢুকে কাগজপত্রে অগ্নিসংযোগসহ থানা ভবনসংলগ্ন ওসির বাসভবন ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করে। সাংবাদিকেরা ভিডিও ধারণসহ ছবি তোলার চেষ্টা করলে তাদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়।
শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ছাত্ররা মিছিল শেষে উপজেলা সদর ছেড়ে গেলেও কিছু দুর্বৃত্ত থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় বের হওয়ার চেষ্টা করলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের কারণে তাঁরা পেছনের দিক দিয়ে কম্পাউন্ড ছেড়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। অস্ত্র লুটসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সময় লাগবে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা রোববার বিকেলের দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হাফিজ সরদারসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা উপজেলা প্রেসক্লাবে হামলা চালানোরও চেষ্টা করে।