অভয়নগর প্রতিনিধি
আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোর ৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চলছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে প্রচারণা ও জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল। তিনি ছাড়া অন্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারে আছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এড. জহিরুল ইসলাম (লাঙ্গল) ও তৃনমুল বিএনপির লে. সাব্বির আহমেদ (সোনালী আশ)।
এছাড়া বিএনএফের সুকৃতি কুমার (নোঙর) ও ইসলামী ঐক্য জোটের ইউনুস আলী (মিনার) এর প্রচারণা নেই বললেই চলে।
আর সর্বশেষ আদালতে এনামুল হক বাবুলের প্রার্থীতা বহাল থাকার পর সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেব নিনর্বাচনে অংশ নেয়া ঈগল প্রতীকেকর বর্তমান সংসদ সদস্য বহুলালোচিত রণজিৎ কুমার রায়।
এদিকে, এ আসনের নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হক তার নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত প্রচার প্রচারণাসহ জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। সাথে করছেন উঠান বৈঠক ও পথসভা। প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার হয়ে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির জহিরুল ইসলাম এ আসনে আগেও নির্বাচন করেছেন। তাছাড়া দলীয়ভাবে জাতীয় পার্টির একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে অভয়নগর ও বসুন্দিয়া অঞ্চলে। এবং বাঘারপাড়া উপজেলার তৃণমূলেও রয়েছে লাঙ্গলের ভোট। প্রচারণা শুরু থেকেই জাপার এই প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে বর্তমান এমপি রণজিৎ সরে দাঁড়ানোর ফলে মূলত এ আসনটিতে লাঙ্গল আর নৌকার মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ধারণা নির্বাচনন বোদ্ধাদের।
এর সাথে তৃণমূল বিএনপির সাব্বির আহমেদ তাদের সমর্থকদের সাথে নিয়ে নিয়মিত জনসংযোগ করে যাচ্ছেন।
নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যে এ আসনে ১৪৯ টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন মোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৮ জন ভোটার , এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৮ জন ও নারী ভোটার আছেন ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৬ জন ।
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এড. জহিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল বলেন আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এই আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান নির্বাচনী বিধিমালা মেনেই প্রার্থীরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, বিধিমালা লংঘনের কোন অভিযোগ আসেনি।