বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদে অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্যানেল চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ কায়েম সনদ ও জন্ম সনদপত্রসহ সরকারি ও বেসরকারি কাগজপত্রে সিল মোহর ব্যবহার করে স্বাক্ষর দিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে এ সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ডা. মশিয়ার রহমান। নবনির্বাচিত পরিষদ গঠিত হওয়ার ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন হলেও তা অগ্রাহ্য করে ইউপি সচিব রোজিনা খাতুন বিধি বহির্ভুতভাবে তিনজনের একটি প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন।
এর মধ্যে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান (১) বলেন, জোর যার মুল্লুক তার, কি করবো জোর করে সই নিয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান (২) আবু জাফর বলেন আমাকে জোর করে সই দিতে বাধ্য করেছে। আসলাম হোসেন বলেন, সবাই সই দিয়েছে আমিও দিছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদনের কপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোনো কাগজপত্র নেই, সচিবের সাথে কথা বলেন।
কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাপক বলেন, আমি মাঝে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম। আমাকে ১০/১২ জন লোক বলেছে পরিষদে না যাওয়ার জন্য। মানসম্মানের ভয়ে পরিষদে যাইনে। এ বিষয়ে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রোজিনা খাতুন বলেন, কতিপয় বিএনপি নেতা এগুলো করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো অনুমোদন দেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।