যবিপ্রবি প্রতিনিধি
ছাত্র প্রতিনিধি’র মোড়কে সমন্বয়ক নির্ধারণের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রায় ২০টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ১১ আগস্ট (রবিবার) বিভাগ ভিত্তিক প্রতিনিধি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ঐদিন রাত থেকেই বিভাগ ভিত্তিক প্রেস রিলিজ ও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তারা এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে যশোরের সমন্বয়কদের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগীয় গ্রুপে পোল তৈরি করে ভোটের মাধ্যমে ২৮ টি বিভাগ থেকে ২৮ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে ।
এছাড়া আরো জানা যায় ফেসবুক পোস্ট ও প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ফার্মেসি, ইইই, এপিপিটি, এফএমবি, জিইবিটি, ইংলিশ, কেমিকৌশল, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, বিএমই, ইএসটি, মাইক্রোবায়োলজি, নার্সিং বিভাগ, আইপিই, পিএমই, ম্যানেজমেন্ট সহ প্রায় ২০ টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিনিধি নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেয়।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শিক্ষার্থীদের মিটিং’এ গৃহীত সিদ্ধান্তের সাথে আমরা পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা সর্বসম্মতি ক্রমে ভিন্ন মত পোষণ করছি। হঠাৎ ১ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে এমন প্রতিনিধি নির্বাচন আমরা মানি না।
যবিপ্রবিতে কোনো অধিকার আদায়ের আন্দোলন হলে তা হবে শুধুমাত্র ” সাধারণ শিক্ষার্থী” এই ব্যানারে। অন্য কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিবর্গ যদি এমন কোনো কমিটি গঠন করার চেষ্টা করে তাইলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ নিবো। সর্বোপরি উক্ত মিটিং টি আমরা সম্পূর্ণ রুপে বর্জন করছি এবং উক্ত কার্যক্রমে আমরা “পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ” বিভাগ অংশ গ্রহণ করবো না।
গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলন শুরুর সময় তো এত সমন্বয়ক ছিল না, হঠাৎ করে এরা আবির্ভাব হল কোথা থেকে? ২৮ টা ডিপার্টমেন্ট থেকে ২৮ জন প্রতিনিধি থাকবে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অযোক্তিক। সেরকম হলে ছাত্র সংসদ গঠন করা যেতে পারে ইলেকশনের মাধ্যমে। যে সকল আন্দোলনকারী অতীতে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল, তাদেরকে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে মানি না। তারা যে হঠাৎ দল পরিবর্তন করবে না তার নিশ্চয়তা কি!