বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৃতীয় দিনে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। বুধবার যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমি ভবনের নিচতলায় শিক্ষকরা ও প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান করেন। এসময় তারা দাবির পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস, পরীক্ষা ও সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।
যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর নাজমুল হাসান বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতামুক্ত করে নতুন প্রত্যয় স্কিমের আওতায় আনা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি চরম বৈষম্য দেখা যায়। এই বৈষম্যমূলক স্কিম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণীর পেশায় রূপান্তরিত করার একটা পায় তারা চলছে। এটা কোন ভাবে হতে দেয়া চলবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, পেনশন স্কিম চালু ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে। এমনিতে আমাদের দেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে চলে যায়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে রাখার জন্য আস্থার জায়গা ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে যদি শিক্ষকদের জায়গাটা নড়বড়ে হয় তাহলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না।
প্রফেসর সেলিনা আক্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভালো ফলাফল করে তারাই পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারে। কিন্তু এই প্রত্যয় স্কিম চালু হওয়ার ফলে শিক্ষকরা বঞ্চিত হবে। ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো মেধাবী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসবে না। আশা করি সরকার অত্যন্ত বিবেচনার সাথে আমাদের দাবিগুলো দেখবে এবং সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা থেকে সরে আসবে।