সাতক্ষীরা সংবদদাতা
সাতক্ষীরায় এসএসসি-১৯৮২ ব্যাচের চতুর্থ বারের মতো শিক্ষার্থী বন্ধুদের মিলন মেলা ও বনভোজন অনুুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবর সকাল থেকে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছাস্থ তিতুমীর কনভেনশন সেন্টারে নানা আয়োজনে জাঁকজমক ও বর্ণিল উৎসব মূখর পরিবেশে এই চতুর্থ পুনর্মিলনী বনভোজন ও মিলনমেলায় অংশ নেয় সাতক্ষীরা জেলার সব স্কুলের এসএসসি-৮২ ব্যাচ এর শিক্ষার্থীরা।
‘বন্ধু’ শব্দটা ছোট হলেও এর পরিধি এতটাই বিস্তৃত যে পরিমাপ করার সাধ্য কারো নেই। বলতে গেলে বন্ধু মানেই আত্মার টান, ভালোবাসার বন্ধন, হৃদয়ের স্পর্শ, একেকটা বন্ধুই অন্য বন্ধুর জন্যই ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা। স্কুল-কলেজ জীবনের হারিয়ে যাওয়া বাঁধভাঙা বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ মেলে এই আয়োজনে। বন্ধুত্বের সীমানা ছাড়িয়ে যায় সব শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে অনেকে ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, রোটারীয়ান, ব্যাংকার, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, বড় রাজনীতিবিদ, সামরিক ও বেসামরিক অফিসার, কেউবা আবার শিক্ষক কিংবা ব্যবসায়ী। কেউ বা আবার প্রবাসী। কিন্তু পরিচয় সবার যেন একটা সেটা হলো আমরা স্কুল বন্ধু।
বনভোজন ও মিলনমেলা দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকা বন্ধুরা একে অপরকে পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। খোঁজ নেন পরিবার-পরিজনের। অনেকের চেহারা চেনা চেনা লাগলেও পরিচয় জেনেই নিশ্চিত হই তিনিই সেই স্কুল বন্ধু। এভাবে তিতুমীর কনভেনশন সেন্টার পিকনিক স্পট যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। যেখানে এই সাবেক শিক্ষার্থীরা শৈশবের উৎসবে মেতে ওঠেন।
মিলনমেলা ও বনভোজন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ডা. মিনহাজ আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এস.এস.সি ১৯৮২ ব্যাচের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বনভোজন ও মিলনমেলা আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য রোটারি ক্লাব অব অ্যালট্রুইস্টস্ ঢাকা’র চ্যাটার্ড প্রেসিডেন্ট রোটারীয়ান নাজনীন আরা নাজু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মিলনমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য, শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে মিলনমেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
মিলনমেলা ও বনভোজনে সবার ব্যস্ততার মধ্যেও যেন একই প্ল্যাটফর্মে থাকতে পারি, একে-অন্যের পাশে পরিপক্ব হিসেবে আমরা সবাই দাঁড়াতে পারি, সেই উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এসএসসি ১৯৮২ ব্যাচের বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে প্রতিবছর যেন একটি গাছের নিচে যেন থাকতে পারি। সাতক্ষীরা জেলা থেকে এসএসসি-৮২ ব্যাচ এর শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার, নারী-পুরুষ অংশ নেয় চতুর্থবারের মত এই আয়োজনে। আয়োজনে ছিল বিভিন্ন খেলাধুলা, দুপুরের লাঞ্চ, নাচ, গান, পুরষ্কার বিতরণী, মনোজ্ঞ সাংস্কুতিক অনুষ্ঠান। সব শেষে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।