সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার দেবহাটার এক যুবককে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সাবেক এএসপি সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৭ এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম। আদালতের বিচারক মোহিতুল ইসলাম মামলাটি ১৫৬(৩)/১৫৭ ধারা মোতাবেক এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে মামলাটি একজন সহকারী পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার তদন্তকারি কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন এএসপি কালিগঞ্জ সার্কেল মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ^াস, এসআই জিয়াউল হক, শেখ আলী আকবর, তপন কুমার সিংহ, ইউনুস আলী গাজী, পিএসআই তানভীর হাসান, এএসআই এফ এম তারেক, এএসআই মদন মোহন অধিকারী, কনস্টেবল দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর, গৌতম সাহা, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, ইসমাইল, মাহাফুজুল হক, আবু জাফর, শহিদুল, রেজাউল,ইব্রাহীম, শাহ জাহান, আবুল হাসেম, হাদিস উদ্দিন, আ: মজিদ, দলিল উদ্দিন, নুর ইসলাম, মনজুরুল, মেহেদী, দেবহাটা গ্রামের নজরুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, মোমিন গাজী, সাংবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান, নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, নংলা গ্রামের মাহমুদুল হক লাভলু, ঘোনাপাড়া গ্রামের সামছুর রহমান, মনতেজ, হাবিবুল্লাহ গাজী, মোস্তফা বিশ^াস, মাহমুদ গাজী, রমজান গাজী, ছুটিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ, নওয়াপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মনি, এবাদুল গাজী, সিদ্দিক গাজী, মাঝের আটি গ্রামের আকবর আলী, নাজমুস শাহাদাত (নফর বিশ^াস), জারিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের কিলার কামরুল (কেটো কামরুল) এবং দেবহাটার কোমরপুর গ্রামের আবু মুসা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দেবহাটার নাংলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র আনারুল ইসলাম নিজস্ব মৎস্যঘের কাজ করছিল। এ সময় উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আনারুল ইসলামকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করলে তিনি জীবনের ভয়ে দৌঁড় দিলে একপর্যায়ে উপপরিদর্শক জিয়াউল হক পিছন দিক থেকে তার বাম হাঁটুতে গুলি করে জখম করে। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে আনারুলের পেটের বাম দিকে গুলি করে। পরে আনারুলকে সাতক্ষীরা সদর হাপসাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অথচ উল্টো মৃত আনারুল ইসলামকে আসাাম করে মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন।
এমামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাড. এটিএম বাসারুতুল্লাহ আওরঙ্গী বাবলা ও অ্যাডড. হাফিজুর রহমান।