বাংলার ভোর প্রতিবেদক
অনলাইন সার্ভার জটিলতার কারণে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন নির্বাচন (বিএনএ) ব্যাহত হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোরের সম্মেলন কক্ষে ৩ জুন সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সার্ভার বন্ধ থাকায় অনেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পেরে ফিরে গেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন নির্বাচনে ৬টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে ১১ জন প্রার্থী অংশ নেন। এ উপলক্ষে গোটা হাসপাতালে নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, ইশতেহার ইত্যাদির মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ শুরু করেন। কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যে সার্ভার জটিলতা দেখা দিলে হতাশা নেমে আসে ভোটারদের মাঝে। ভোট প্রদানের হার হয়ে যায় ধীর। শেষ অনেকেই ভোট দিতে না পেরে ফিরেও যান।
জানতে চাইলে শাহনাজ পারভীন তারা প্যানেলে, সভাপতি পদে যশোর জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার শাহনাজ পারভীন তারা বাংলার ভোরকে বলেন, সকাল ৮ট থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এখন রাত ১০টা বাজে অন্তত ২০ জন ভোটার এখনো অপেক্ষা করছেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবার। অনেকে অপেক্ষা করে ভোট না দিতে পেরে ফিরে গেছেন। অনলাইন সার্ভার জটিলতা গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধোয়াশার মধ্যে ফেলে দিল। আমাদের এখন কি করা উচিত সেটাই বুঝতে পারছি না।
শাহিদা খাতুন প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী যশোর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিদা খাতুন জানান, আজ সার্ভার জটিলতা আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেছে। অল্প সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে পারলেও ফিরে গেছেন অনেকে। অনেকে অপেক্ষা করেও ভোট প্রয়োগ করতে পারেননি। নির্বাচন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হলে তা কেন্দ্র অথবা নির্বাচন কমিশনার ব্রিফ করবেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) নির্বাচনে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ২৩২, টিবি হাসপাতালে ৬ ও ৭টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৪২, মোট ৪৮০ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করতে পারতেন এ নির্বাচনে। কিন্তু সার্ভার জটিলতা সবকিছু ভন্ডুল করে দিল।