বেনাপোল সংবাদদাতা
যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে তিন বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে একজনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। আর মুমূর্ষু অবস্থায় অপরজনকে রাতে উদ্ধার করে স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তিন জনের শরীরেই গুরুতর জখম ছিল। তবে, কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি বিজিবি।
মৃত তিন জনের মধ্যে দুই জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। একজন শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের ইউনুস মোড়েলের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩৩) অপরজন বেনাপোলের দিঘিরপাড় গ্রামের আরিফ হোসেনের ছেলে সাবুর আলী। এদিকে বিকেল ৫ টায় একই নদী থেকে আরো একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে যার পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে সীমান্তের ইছামতি নদীতে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে তারা খুলনা ব্যাটালিয়নের (২১ বিজিবি) সদস্যদের খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ টি মরদেহ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
খুলনা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খুরশিদ আনোয়ার জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহটি উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে বেনাপোল বন্দর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহের মাথার পেছনের অংশে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। পরনে কোনো পোশাকও ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের মরদেহ শনাক্তের জন্যে দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেউ চিনতে পারেনি।
এদিকে, সকালে খবর পেয়ে কাগজপুকুর গ্রামে যায় পুলিশ। সেখানে নিহত জাহাঙ্গীরের দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্বজনরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কেউ কেউ তিন হত্যার দায় চাপাচ্ছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র দিকে। কিন্তু বিজিবির কাছে হত্যার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছে বিএসএফ।