বাংলার ভোর প্রতিবেদক
হারামজাদা সাংবাদিক এখনো আছে; না চলে গেলে, আপনি কি হারামজাদা সাংবাদিকের সামনে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলছেন। মোবাইলের অপরপ্রান্ত থেকে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের সাথে এমন ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন। ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে দেয়া পাকা ঘর তৈরিতে রঙিং টিনের পরিবর্তে নিম্নমানের টিনে রং করা হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মহেশপুরের গণমাধ্যম কর্মীরা। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন।
গণমাধ্যম কর্মীদের দেখেই তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। কোন কিছু জানতে চাওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। তার কিছুক্ষণ পর ঘর বরাদ্দ পাওয়া সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনকে ফোন করেন তিনি।
ফোনে তিনি রেবেকা খাতুনকে বলেন, হারামজাদা সাংবাদিক এখনো আছে না চলে গেছে, আপনি কি হারামজাদা সাংবাদিকের সামনে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলছেন। এমনি একাধিক বার হারামজাদা বলে সাংবাদিককে গালি দিতে শোনা যায়। এবং পরে সেই কথা ফোনে রেকর্ড করে রাখা হয়।
গণমাধ্যমকর্মী শামীম খান জনী জানান, সংবাদ সংগ্রহ করাই সাংবাদিকদের কাজ। আর সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা একজন সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব। কিন্তু আনসার কর্মকর্তা খুশি খাতুন তার উল্টো, তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেই কোন এক অপশক্তির বলে সেই সাংবাদিককে হয়রানির স্বীকার হতে হয়। তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রত্রিকায় ঘুস চাওয়াসহ অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আমি আনসার কর্মকর্তা খুশি খাতুনের দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টম্বরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে দেওয়া পাকা ঘর তৈরিতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে ঘর তৈরি করার ফলে নতুন ঘরে ওঠার আগেই দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের কপালে। এই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। এর পরে নিম্নমানে জানালা পরিবর্তন করলেও এস্টিমেটে রঙিং টিনের জায়গায় নিম্নমানের সাদা টিন পরিবর্তন না করে সেই টিনে রং করে দেয়া হয়েছে।

