নড়াইল প্রতিনিধি
চলতি বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে নড়াইলে সরকার নির্ধারিত দামে সার পাওয়া নিয়ে চাষীদের দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে। ইউরিয়াসহ সব ধরনের সারের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় নানা অজুহাতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি সার ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কৃষকের। উর্ধগতির এ বাজারে এ যেন মরার খাঁড়ার ঘা চাষিদের জন্য।
তবে সারের বাড়তি দাম নেয়ার কথা অস্বীকার করছেন সার ডিলাররা। এদিকে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন কৃষি বিভাগ।
বছরজুড়ে ধানের ভালো দামে নড়াইলের চাষীরা লাভের আশায় এবার ব্যাপকভাবে বোরো আবাদে মেতে উঠেছেন। গতবারের তুলনায় এবার জেলায় অতিরিক্ত ২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে। বর্তমানে বোরো চাষের ভরা মৌসুম চলছে। জেলার মাঠে মাঠে বোরো চাষকে ঘিরে চাষীরা চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন। যথাসমেয় আবাদ শেষ করতে জমি প্রস্তুত, সেচ দিয়ে জমিতে চারা লাগাতে চাষীরা বিরামহীন খেটে চলেছেন তারা।
কিন্তু বোরো চাষেল অন্যতম অণুষঙ্গ সার জেলার অধিকাংশ এলাকায় সরকার নির্ধারিত দামে পাওয়া না যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই চাষীরা। সরকার প্রতিকেজি ইউরিয়া ও টিএসপি ২৭ টাকা, এমওপি ২০টাকা ও ডিএপি ২১টাকা দর নির্ধারণ করে দিলেও এসব সার কিনতে ৩ থেকে ৮টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে বলে চাষীদোর অভিযোগ।
নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক পারভেজ মোল্যা বলেন সারের দাম বেশি হলেও কিছুই করার নেই। কৃষক মানুষ চাষবাস করেই খেতে হবে। ব্যাপক ভাবে না হোক নিজের পরিবারের জন্য জন্য হলেও কিছু জমি আবাদ করা লাগছে।
বিসিআইসি সার ডিলার মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান মল্লিক সারের বাড়তি দাম নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কোন ডিলার বাড়তি দাম নিচ্ছেনা। তবে কোন সাবডিলার বাকিতে সার বিক্রি করে বেশি দাম নিতে পারে।
এ বিষয়ে নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ফিল্ডে কৃষকের সাথে থেকে কাজ করছেন। কোনভাবেই যাতে সারের ন্যায্যমূল্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারেন সে বিষয়ে মনিটরিং কররা হচ্ছে। সারের অতিরিক্ত দাম নেয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে চলতি জানুয়ারি মাসে জেলায় বরাদ্দকৃত ইউরিয়া সারের পরিমাণ ৩ হাজার ৩৯২, টিএসপি ১ হাজার ২৭৫, ডিএপি ২ হাজার ৮৮২ এবং এমওপি ১ হাজার ৭০ মেট্রিক টন। গেল বছর জেলায় ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হলেও ৫০ হাজার ১৭০ হেক্টরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস