বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ঘের মালিকের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগে কারাগারে আটক পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনসহ (টাক মিলন) ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় সন্দেহজনকভাবে মাহবুবুল আলম বিদ্যুৎ নামে একজনকে আটক করেছে। ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী একই উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফা গতকাল কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।
আটক মাহবুবুল আলম বিদ্যুৎ সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি সদরের মোবারককাটি গ্রামে একটি পুকুরসহ জমি কিনে মাছের চাষাবাদ করে আসছিলেন। আসামি জাহিদ হোসেন মিলনের নেতৃত্বে অন্যান্যরা দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়া হয়।
২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট কাউন্সিলর মিলনের নেতৃত্বে কয়েকজন তার মৎস্য ঘেরে যান। এ সময় পূর্বে দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় তাকে এলোপাতাড়ি মারপিটের পর হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বাধ্য হয়ে কয়েক মাস আগে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া কাঁঠালতলায় গিয়ে জাহিদ হোসেন মিলনের বাড়িতে বসে চাঁদা স্বরূপ ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তারপরও পূর্বের দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি থানায় কাউন্সিলর মিলনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে এই মামলার সন্দেহজনক আসামি মাহবুবুল আলম বিদ্যুৎকে আটকের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই তাপস কুমার আঢ্য জানিয়েছেন, মামলার অন্য আসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। বর্তমাসে সে কারাগারে অন্তরীণ আছে।