কেশবপুর প্রতিনিধি
কেশবপুরের কালিয়ারই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আব্দুস সালাম।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক দু’সপ্তাহের কোনো এক দিন বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় বিগত দিনের স্বাক্ষর করে চলে আসেন। বিদ্যালয়ে না গিয়েই তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতার সরকারি অংশ অবৈধভাবে উত্তোলন করে চলেছে। তার অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর অধীনে চলতে হয় শিক্ষকদের। এনিয়ে শিক্ষকসহ অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে।
তার অনুপস্থিতির সুযোগে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আজিবর রহমান কাউকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক শিক্ষা সফরের দিনে ওই অফিস সহকারীর হাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিসুর রহমান লাঞ্ছিত হন। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী আমিনুর রহমানকে দিয়ে শ্রেণি কক্ষের পাঠদান করানো হচ্ছে। এনিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এনিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ৫ শতাধিক এলাকাবাসী গণস¦াক্ষর করে লিখিত অভিযোগ করেন। তারই জের ধরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ম্যানেজিং কমিটির মিটিং চলাকালীন সময়ে দাতা সদস্য মকবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক মুনজুর রহমান গালিগালাজ করে মিটিং থেকে বের করে দেয়। যে কারণে গতকাল মকবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এসময় বক্তব্যে দেন প্রতিষ্ঠাতা আবু বক্তার সিদ্দিক গাজী, ইউপি সদস্যের স্ত্রী আসমা খাতুন ও মকবুল হোসেন প্রমুখ। প্রধান শিক্ষক এস এম মুনজুর রহমান মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন বলেন, এলাকাবাসির অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মানববন্ধনে শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।