বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ৩২ মামলার আসামি রমজান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শহরের রেলগেট এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)। রোববার রাতে তাদেরকে যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, শহরের রেলগেট কলাবাগান এলাকার মজিবরের ছেলে পিচ্চি রাজা, বেজপাড়া এলাকার কানা বাবুর ছেলে সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন, চোরমারা দিঘীরপাড় এলাকার কুদ্দুসের ছেলে ইবাদুল, শাহ আলমের ছেলে শাওন ওরফে পটকে শাওন, রেলগেট কলাবাগান পাড়ার কানা বাসারের ছেলে তুহিন। শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা ও তার সহযোগীরা আটক হওয়ায় রেলগেট এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, গত শুক্রবার রাতে শহরের রেলগেট এলাকায় আলোচিত সন্ত্রাসী রমজানকে কুপিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মূলত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করাসহ আধিপাত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত রমজান এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার নামে মাদক, চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ ৩২টি মামলা ছিল। রমজান হত্যাকান্ডে জড়িত পিচ্চি রাজাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজার নামে মাদক, চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রসহ ২১ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পটকে শাওনের নামে চুরি, হত্যাচেষ্টা, অপহরণসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
ট্যাটু সুমনের নামে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ৯টি মামলা ও তুহিনের নামে হত্যা, মাদকসহ ৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আটক আসামিদের তথ্যমতে, চোরমারা দিঘীরপাড় এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ানশুটারগান, চার রাউন্ড গুলি, একটি টিপ চাকু, তিনটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাকু ও একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী আটকের ঘটনায় রেলগেট এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন আরও বলেন, রমজান হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে মামলা করে। র্যাবের সদস্যরা এই হত্যাকান্ডে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি করে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার এজহারভুক্ত ৫ আসামিকে আটক করেছে। আটক পিচ্চি রাজার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। শহরের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে নিয়মিত টহল জোরদার করা হচ্ছে।
এদিকে, পিচ্চি রাজাসহ শীর্ষ ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করায় শহরের রেলগেট এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। এলাকার মানুষ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ ছিল। শীর্ষ সন্ত্রাস রমজান খুনের পর হত্যাকান্ডে জড়িতরা এলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরছিল। সর্বশেষ র্যাবের অভিযানে শীর্ষ ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেলগেট এলাকার বাসিন্দা একাধিক বাসিন্দা জানান, সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজিতে জিম্মি হয়ে পড়েছিল এলাকার সাধারণ মানুষ। এক সন্ত্রাসী খুন ও ৫ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এলাকার শান্তি ফিরেছে। সন্ত্রাসীদের দমনে প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।