রাজগঞ্জ প্রতিনিধ
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট অঞ্চলে বেড়েছে কলার দাম। রমজানে কলার অতিরিক্ত দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে চড়া দামের কারণে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে গেছে পাকাকলা।
প্রতিবছরের মত এবারও রমজানের শুরুতেই রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাটসহ বিভিন্ন বাজারে এক সপ্তাহ আগেও যে কলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫টাকা। অথচ এখন তা প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০টাকা।
দুধ সাগরকলা, কালি বোগ বিক্রি হচ্ছে, ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। বিক্রেতাদের দাবি চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সড়কের পাশে কলা বিক্রি করছিলেন জব্বার আলী। তিনি বলেন, এবছর সরবরাহ কম। এই কথা পুরোপুরি সঠিক না। এখন কলা উৎপাদনে কৃষকদের আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বলেই দাম বেশি। কলা কিনতে আসা লক্ষণপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মাহতাব বলেন, ইফতারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে কলা খুবই জনপ্রিয় খাবার।
কিন্তু কলা কিনতে এসে দেখি দাম দ্বিগুণ। অন্য সময় ৩০-৩৫টাকা কেজি দরে কলা পাওয়া গেলেও এবার দ্বিগুণ দাম গুণতে হচ্ছে। আরেক ক্রেতা ধোপাডাংগা গ্রামের রেজাউল হোসেন বলেন, এই সময় কলার এতো দাম হওয়ার কথা নয়। গরমে কলা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়,এজন্য বেশি দিন রাখা যায় না, কালো হয়ে যায়,তাই আগে গরমে কলার দাম কম থাকতো। কিন্তু এখন দেখছি সব উল্টো!