বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জিয়া হায়দার ও স্থানীয় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির তুহিনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডির সভাপতি কামাল হোসেন। বুধবার তিনি যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহারে কামাল হোসেন জানান, তিনি সম্ভ্রান্ত ও সুনামধন্য পরিবারের সদস্য। উচ্চ শিক্ষা শেষ করে যশোর শহর ও তালবাড়িয়া গ্রামে মৎস্যঘেরসহ নানাবিধ ব্যবসা সুনামের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে জড়িত। বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত। বর্তমানে তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাপী তার সুনাম সৃষ্টি হওয়ায় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার আশংকা থেকে আসামিরা তার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেছেন। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যে, অবৈধভাবে টাকা গ্রহণসহ দুর্নীতিতে জড়িত মর্মে মিথ্যা প্রচার ছড়াচ্ছেন।
গত ১৪ মার্চ উপাধ্যক্ষ জিয়া হায়দারের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির তুহিন কলেজে হট্টগোল সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। অধ্যক্ষ ড. শাহনাজ পারভীনের শিক্ষাগত সনদ জাল বলে মিথ্যা প্রচারণা চালায়। এছাড়াও হুমায়ুন কবির তুহিন ২৪ মার্চ অধ্যক্ষের নামে আমলী আদালতে মামলা করেন। একই এজহারে তুহিন তার দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে টাকা গ্রহণসহ বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ করেন। এটা ফটোকপি করে বিভিন্ন চায়ের দোকানে প্রচার করেন। এতে তার সামাজিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিকভাবে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তার সম্পর্কে জনমনে বিরুপ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য দুই কোটি টাকা। আদালতের কাছে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সুবিচার প্রার্থনা করেন তিনি।