স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
যশোরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। রোজা যতই বাড়ছে ঈদের দিন ততই এগিয়ে আসছে। মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার উপস্থিতি। তারা দোকান থেকে দোকানে পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে ঘুরছেন। দাম দরে মিললে নিজের জন্য কিংবা প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করছেন।
যশোরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে পাঞ্জাবি, পাজামা, টুপি, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের বাহারি পোশাক, দেশি বিদেশি থ্রি পিস ও জুতা বিক্রি বেড়েছে। সকাল ৯ টার পর থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দুপুর গড়িয়ে এলে কমতে থাকে লোক সমাগম। ইফতারির পর শহরের রাস্তাগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। মার্কেটগুলোয় ক্রেতার বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়। নিজের পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করতে বাজেট সংকট কাটিয়ে কেউ কেউ পুনরায় দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে বেড়ান। আবার কেউ কেউ নিজ ও প্রিয়জনের পছন্দকে প্রাধাণ্য দিয়ে প্রথম দেখাতে প্রিয় পোশাকটি ক্রয় করে নিয়ে যান। ঈদ বাজারে বাড়তি ক্রেতা সমাগত লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। এই সব দোকানে স্বল্প মূল্যে জামা, পাঞ্জাবি, পাজামা, টি শার্ট, টুপি বিক্রি হয়। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই সব অস্থায়ী দোকানের পোষাক।
যশোর সিটি প্লাজার ২য় তলায় অবস্থিত অধরা নামের পোশাকের দোকানি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ঈদের কেনা কাটা আসলে শুরু হয়েছে কি না বুঝতে পারছি না। যেমনটা আশা করেছিলাম কেনা বেচা তেমনটা হচ্ছে না। ক্রেতার উপস্থিতি বেশি হলেও পণ্য বিক্রি কম। ঈদের এখনও দশ দিন বাকি আছে। আশা করছি শেষ মূহূর্তে কেনা বেচা জমে উঠবে।
একই বিপণী বিতানের অপর দোকান লেডিস টাচ-এর স্বত্বইধকারী রায়হান ইসলাম বলেন, রোজার শুরু থেকেই ক্রেতার আগমন শুরু হলেও বেকা বিক্রি আশানুরূপ বলতে না পারলেও আলহামদুলিল্লাহ। তবে রোজার শেষে বেঁচা কেনা আরো বাড়বে বলে আশা করছি।
তুহিন আফরোজ নামে একজন ক্রেতা বলেন, নিজের পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করতে পেরেছি। ঘুরে ঘুরে নিজের প্রিয় পোশাক কিনতে পেরে ভালো লাগছে। যশোরে অনেক সুন্দর পরিবেশের দোকান গড়ে উঠেছে। মোটামুটি ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশি পোশাকের দাম একটু বেশি। তবে সব পোশাকের দাম বেশি না।
শহরের দড়াটানায় অস্থায়ী দোকানে পাজামা, চুপি কিনতে আসা আব্দুল হালিম জানান, ঈদের সময় ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান থেকে কম দামে প্রয়োজনীয় পোশাকটি কিনতে হয়। আয় সীমিত হলেও ঈদে কেনা কাটার জন্য কিছু টাকা আলাদা করে রাখতেই হয়।
বড় বাজার এলাকায় মেয়ের জন্য পোশাক কিনতে আসা আমেনা খাতুন বলেন, মেয়ের জন্য পোশাক কিনলাম। বাজারের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বাজার। তারপরও সন্তানের আবদার মেটাতে তার প্রিয় পোশাক কিনে দিলাম। একটা সময় এসে মা বাবার আর চাহিদা থাকে না। অনেক সময় সন্তানের মুখে হাসি ফোঁটাতে নিজেদের কেনা কাটা হয়ে উঠে না।