কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
বিভিন্ন অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সামান্যতেই রেফার্ড করা হচ্ছে রোগীদের। কমপ্লেক্সের কয়েকজন ডাক্তার নিজেদের সুবিধার্থে চালু করেছেন রেফার্ড করার নিয়ম। রোগী রেফার্ড করলে ঝামেলা মুক্ত থাকতে পারেন ডাক্তার বাবুরা।
সিনিয়র চিকিৎসকরা অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে। যারা তাকে অপারেশনে ডাকেন তাদের ৭ খুন মাপ। যারা না ডাকেন তাদের বিপদের শেষ নেই। তিনি যেখানে অপারেশন করেন সেখানে থাকেন না সার্বক্ষণিক ডিপ্লোমাধারী নার্স বা কোন চিকিৎসক। তবুও তাদের কোন সমস্যা নাই।
সামান্য অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে অধিকাংশ রোগীদের রেফার্ড করা হয় ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর এবং ঢাকায়। এই ধরনের অনিয়মসহ একাধিক অনিয়ম এখন নিয়মেই পরিণত করেছেন হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন ডাক্তার। এমন অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর।
একের পর এক সংকট ও অনিয়মে দিশেহারা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের উপর উপজেলার মানুষ অনেকাংশে নির্ভরশীল হলেও একের পর এক অনিয়ম, সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন এই এলাকার দরিদ্র মানুষ যাদের অসুস্থ হলে এই হাসপাতালই একমাত্র আশ্রয়স্থল।
সামান্য অসুস্থ রোগীদের রেফার্ড করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সেবামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই উপজেলার হাজারো মানুষ। আর রেফার্ড করা রোগীরা বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে মোটা অংকের চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন।