রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মনিরামপুর উপজেলা রাজগঞ্জ নেংগুড়াহাটের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের থেকে নানা গুণে ভরা ভেন্না হতে পারে ভোজ্যতেলের প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উৎস।
জানাযায় আমাদের দেশে লাল ও সবুজ দু’টি স্থানীয় জাতের ভেন্না যত্রতত্র দেখা যায়। ভেন্না বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। ভেন্না গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী ফারহানা ফেরদৌসে জানান, আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া ভেন্না চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অন্যান্য তেল বিজের তুলনায় এর উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে এবং তবে ফলনও বেশি। আড়াই কেজি ভেন্না বিজে প্রায় এক লিটার তেল পাওয়া যায়। কিন্তু সয়াবিন যুগের আগ্রাসন আর মানুষের অবহেলায় কেউ বুঝতে পারে না ভেন্নার গুণাগুণ। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভেন্না হতে পারে ভোজ্যতেলের নিরাপদ উৎস। এতে করে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে আমদানি নির্ভর অনেকাংশ কমিয়ে আনাও সম্ভব।
সবচেয়ে বড় পাতার উদ্ভিদের মধ্যে ভেন্না। সাধারণত বর্ষার শেষে ভেন্নার চারা গজায়। প্রতি বছর হেমন্ত ও শীতকালে ভেন্নার ফুল-ফল হয়। ভেন্না গাছের ছোট ডালের শাখা প্রশাখার মাথায় কাঁদি আকারে থোকা থোকা লালচে ফুল হয়। ওই কাঁদি থেকে ফল ও বিজ হয়। সবুজ ভেন্না ফলের গায়ে নরম নমর কাঁটা থাকে। ফলের ভেতরে তিন বা চারটি কালো বাদামি ডোরাকাটা রঙের খোসার আবরণে সাদা বিজ থাকে। ওই বীজ থেকেই তৈরি হয় তেলসহ অন্যান্য উপাদান।
ভেন্নার তেলে রান্না করা খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়। এছাড়া কচি ভেন্না করলার মতো ভাজি করে খায় অনেক এলাকায়। স্বাস্থ্যের জন্য যেমন চুলের পরিচর্যা, পেটের পিড়া নিরাময়ে, ত্বকের সৌন্দর্য, ব্যথা নিরাময়ে, চর্মরোগ প্রতিরোধসহ নানা রকম ঔষধি কাজে ভেন্না তেল ব্যবহার করা যায়। শরীরের যেকোনো ধরনের ঘায়ে জীবাণু মুক্তকরণ, এলার্জিজনিত রোগ নিরাময়ে এ তেল ব্যবহার করা যায়।
মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী মারুফুল হক বলেন, ভেন্নার তেলের নানাবিধ গুণাগুণ রয়েছে। এর চাষও করা যেতে পারে, এ অঞ্চলে কেউ নিয়মিত এর চাষ করে না, তবে কেউ চাষ করতে চাইলে সহায়তা করা হবে।