বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রচন্ড তাপদহে নাকাল যশোরবাসী। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। প্রচন্ত রোদে ঘর থেকে বের হয়ে বিপাকে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ সামান্য স্বস্তি ও শরীর শীতল করতে ছুটছেন গাছের ছায়াতলে।
অতিরিক্ত গরমে যারা রোজা থাকছেন না তারা ছুটছেন বিভিন্ন শরবত ও পানিয়ের দোকানে। কোথাও কোথাও পুকুরে নেমে প্রশান্তির সন্ধান করছেন অনেকে। প্রতিদিন তীব্র তাপদাহ থাকার পরেও ঈদ আসন্ন হওয়ায় ইচ্ছা না থাকলেও অনেকেই কাজের সন্ধানে বাইরে বের হচ্ছেন। অনেকে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়েও প্রিয়জনের জন্য করছেন ঈদের কেনাকাটা। আবার রাতে তাপমাত্রা কিছুট কমায় অনেকেই রাতেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা।
জানা যায়, শনিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যশোর শহরের জজ কোর্ট মোড় এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমে দায়িত্ব পালন করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তবুও মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে কষ্ট মেনে নিয়েই দায়িত্ব পালন করছি।
ইজিবাইক চালক আবদুল খালেক বলেন, গরমে গলাবুক শুকিয়ে যাচ্ছে। গা ঘেমে ভিজে যাচ্ছে। ইজিবাইক চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঘরে বসে থাকার উপায় নেই।
কলেজছাত্র নাইমুল ইসলাম বলেন, কলেজ বন্ধ থাকলেও কোচিং খোলা ছিল। গরমে খুব কষ্ট হলে কোচিং মিস দিই নাই। আজ থেকে কোচিংয়ের ছুটি হলো।
ইুরুজ্জামান বাপ্পী নামে একজন পথচারী বলেন, তাপদহে জনজীবন বিপর্যস্ত। মেঘ, বৃষ্টির দেখা নেই। এজন্য গরমে মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। রোজার মাসে মানুষের কষ্ট বহুগুণ বেড়েছে।