কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
আগামী ৮ মে দেশে ১ম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ এপ্রিল ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ জন ও জামায়াতে ইসলামীর ১ জন। তবে এ নির্বাচনে বিএনপির কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতি, শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতি ইমদাদুল হক সোহাগ, কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শমসের, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিবলী নোমানী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও জামায়াতে ইসলামীর কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আমির ওলিউর রহমান। এ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২৯, মহিলা ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯২ ও হিজড়া ভোটার রয়েছে ৩ জন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে দলীয়ভাবে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যার জনপ্রিয়তা আছে সেই প্রার্থীই ভোটে জয়লাভ করবে। দলের জন্য নিবেদিত, কর্মীদের দুর্দিনের পাশে থাকা প্রার্থীকেই বেছে নিবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের অনুসারী। অন্য একজন দলের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন খানের অনুসারী।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা ও জনগণের সুখে-দুঃখে যিনি পাশে থাকবেন তাকেই ভোট দিবেন। এ উপজেলায় মূলত বিএনপি ও জামায়াতের ভোট বেশি। বিএনপির কেউ ভোটে প্রার্থী হয়নি। যে প্রার্থী বিএনপির ভোট টানতে পারবে তিনিই জয়লাভ করবেন। আওয়ামী লীগের ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকলে জামায়াতের একক প্রার্থী সুবিধা পাবে বেশি বলে মনে করেন ভোটাররা।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। সুতরাং কোন নেতাকর্মী ভোট দিতে যাবে না এটাই স্বাভাবিক। ফ্যাসিস্ট হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করবে না।
বক্তব্য জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। মুঠোফোনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন বলেন, দলীয় একক প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনা আছে। তারপরও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করবে। এ উপজেলায় জামায়াতের ভোট একদমই কম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সমর্থকরা ভোট দিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়লাভ করতে কষ্ট হবে।