বাংলার ভোর প্রতিবেদক
উত্তম কৃষি চর্চা অবলম্বন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি পণ্যের রপ্তানিমুখি বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে যশোরে দিনব্যাপি আঞ্চলিক বিপণন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার যশোর শহরের একটি অভিযাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষির সাথে জড়িত বিভাগের সকল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পার্টনার প্রকল্প ‘ডিএএম অংগ’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম। এ সময় তিনি বলেন, ‘কর্মশালায় দানাদার শস্য, নির্ধারিত ফলের জাত, শাকসবজি, অপ্রচলিত ফসল ও প্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্য সংশ্লিষ্ট মার্কেট সৃষ্টিসহ আ্যক্টরস বিজনেস স্কুল গঠন এবং অংশিজনের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
যারা আম, কাঁঠাল, আলু, টমেটো ও সুগন্ধি চালসহ নিরাপদ ও রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে সরাসরি কাজ করবে। ‘কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে পাবে ন্যায্যমূল্য’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের এই উক্তিকে সামনে রেখে কৃষিকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে। একই সঙ্গে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে অধিদপ্তর। এছাড়াও বিপণন অধিদপ্তর কৃষি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন ২০ হাজার তরুণ তরুণীদের নিয়ে উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার তরুণী ও ৮ হাজার তরুন। এসব তরুণ তরুণীদের ৩০ টি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। এই কার্যক্রমে যন্ত্রপাতি, পরিবহণ, সংরক্ষণসহ ঋণ ও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যশোরাঞ্চলের যুবক ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি ও বিপণনে আধুনিক পরিবর্তন আসবে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক দীপক কুমার রায়, পার্টনার প্রকল্প ডিএএম অংগ এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক সিফাত মেহনাজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আম, কাঁঠাল, আলু, টমেটো ও সুগন্ধি চাল এই ৫টি কৃষি পণ্য নিয়ে কৃষি ব্যবসায়ে দেশে ২০ হাজার যুবক ও নারীদের উৎসাহিত করে প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিভিন্ন সাপোর্টসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাসুদ রানা ও সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা রশিদুল ইসলাম।