বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেছেন, পিবিআইকে নিরাপক্ষ তদন্ত করতে হবে, দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং সকলের পক্ষে তদন্ত করতে হবে। বাদী ও বিবাদীর দুইপক্ষরই ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কোনো লোক যদি পিবিআইএর কাছে আসে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। পিবিআইকে যদি টিকে থাকতে হয় তাহলে এর কোনো বিকল্প নেই। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় যশোরের পিবিআই কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় পিবিআই প্রধান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিতও না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এসময় তিনি পিবিআই কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মামলা তদন্তে সততা, নিষ্ঠা, মামলার সঠিক রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক মামলার গুনগত মান ধরে রাখা এবং সঠিক ও নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও ক্লুলেস মামলা রহস্য উদ্ঘাটনে বিশেষ গুরত্ব আরোপ করেন এবং তদন্তে মামলার দ্র্রুত নিস্পত্তির সার্থে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সময় তিনি বলেন, পিবিআই গঠন হয়েছিল মামালার সঠিক ও নির্ভুল তদন্ত করার উদ্দেশ্যে। পিবিআই সারা দেশে সম্পূর্ণ চাপমুক্ত থেকে সঠিক তদন্ত করে আসছে। একারণে সকল স্তরের মানুষের কাছে পিবিআই এখন আস্থার জায়গা। তিনি পিবিআইকে এই আস্থা ধরে রাখার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় তিনি পিবিআইএর কাজ আরও গতিশীল করতে , খুলনা বিভাগসহ সকল বিভাগে একটি করে ল্যাব স্থাপন করার ঘোষনা দেন। সর্বশেষ তিনি পিবিআই যশোরের সার্বিক কর্মকান্ডের ভূয়শী প্রশাংসা করেন। সাংবাদিকদের সাথে নিয়েই পিবিআই তাদের গতিশীল কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে চান বলে মন্তব্য করেন।
এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন, খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার নাইমুল হাসান ও যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির (ডিএসবি)সহ পিবিআই যশোরের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে শুক্রবার সকালে তিনি যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে সালামি গ্রহণ শেষে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান (ক সার্কেল) প্রমুখ।