বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সরকারি যশোর জিলা স্কুলে পরীক্ষা চলাকালে চলন্ত বৈদ্যুতিক পাখা খুলে মাথার উপর পড়ে মোবাশ^র রহমান নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জখম হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মোবাশ^রকে প্রথমে যশোর জিলা স্কুল ক্লিনিক ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। আহত মোবাশ^র পৌরসভার ষষ্ঠিতলা পাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে।
আহত শিক্ষার্থী জানায়, সকাল ১০টার সময় তাদের প্রি-টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক পরে হঠাৎ করে সিলিং ফ্যান খুলে তার মাথার উপর পড়ে। এতে সে মাথায় আঘাত পায়। এ সময় তার সহপাঠিরা তাকে উদ্ধার করে স্কুলের ক্লিনিকে নিয়ে যায়। গত পাঁচ বছর আগেও তার সহপাঠির সাথে এমন ঘটনা ঘটে বলে সে জানায়।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থীর মা জলি আফরোজ জানান, যশোর শহরের একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল। এই স্কুলে এমন ঘটনা আমাদের কাম্য নয়। সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে আমরা সব সময় আতংকে থাকি। প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িতহীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরেক অভিভাবক বলেন, ‘যশোরের শ্রেষ্ঠ স্কুল বলেই তার সন্তানকে এই স্কুলে অনেক সংগ্রাম করে ভর্তি করিয়েছি। শিক্ষকরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন না। শঙ্কায় আছি সন্তানের ভবিষৎ নিয়ে। এই স্কুলে এখন বহিরাগতদের যাতায়াত বেড়ে গেছে। স্কুলের মধ্যে চাকুও পাওয়া যাচ্ছে। এসব নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা।’
যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনে নিজেই ক্লিনিকে গিয়ে তার খোঁজখবর নিয়েছি। সে আপাতত সুস্থ আছে। তবে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই জন্য স্কুলের প্রত্যেকটা শ্রেণি কক্ষের ফ্যানগুলো চেক করা হয়েছে।