বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে এক মুদি দোকানি রাকিবের বিরুদ্ধে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে সোয়া তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মনিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামের আসাদুল ইসলাম মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রানী অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত রাকিব হোসেন নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার বামুনপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
মামলায় আসাদুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত রাকিব নিজেকে সেনা বাহিনীর কমিশন অফিসার পরিচয়ে এক লাখ টাকা দেনমোহরে ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর তার মেয়ে মীম আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে আসাদুল ইসলামের পরিবারকে বিশ্বাস করানোর জন্য সেনাবাহিনীর ভুয়া আইডি কার্ড এবং ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি দেখিয়েছিলেন অভিযুক্ত রাকিব। কিন্তু বিয়ের পর আসাদুল ইসলামের মেয়ে মীম আক্তারকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাননি রাকিব। এ সময় তিনি মীম আক্তারের পরিবারকে বুঝিয়েছিলেন যে, সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী এখন তার বিয়ের বয়স হয়নি। এর মাঝে ২ লাখ টাকা নেন অভিযুক্ত রাকিব। এরপর সে জানানা সেনাবাহিনীর গাড়ি নিয়ে ঢাকার কচুক্ষেতে এক্সিডেন্ট করেছেন। এজন্য এখুনি ৫০ হাজার টাকা লাগবে। তার কথায় বিশ্বাস করে আসাদুল ইসলাম বিকাশের মাধ্যমে তাকে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।
এরপর বিভিন্ন সময় আসাদুল ইসলামের কাছ থেকে আরও ৭০ হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত রাকিব। এভাবে প্রতারণা করে তিনি মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। এরই মধ্যে গত ৩ মে অভিযুক্ত রাকিবে প্রথম স্ত্রী হঠাৎ মীম আক্তারকে মোবাইল ফোন করে জানান যে, তার স্বামী সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন না। তিনি একজন মুদি দোকানি। বাধ্য হয়ে তিনি মামলা করেন।