বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ঘুমাচ্ছান্ন অবস্থায় পণ্যবাহী ট্রাক চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাইস মিলের অফিস কক্ষের ভেতরে ঢুকে পড়ে তিনজন হতাহত হয়েছেন। সোমবার সকালে যশোর-চুকনগর সড়কের মণিরামপুর উপজেলার বাঁধাঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, মণিরামপুুর পৌর এলাকার বিজয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা পথচারী আব্দুর রহমান (৮৫) ও টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার দেওভাটা গ্রামের ট্রাক মালিক ঝান্টু মিয়া (৪৮)। আর এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ট্রাক চালক নুরুল ইসলাম। তার বাড়ি গাজীপুর উপজেলার উত্তরদারিয়াপুর গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সোমবার রাতে একটি ট্রাক মালামাল নিয়ে গাজীপুর থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উদ্দ্যেশে রওনা হয়। পথে সকাল ৭টার দিকে ট্রাকটি মণিরামপুর বাঁধাঘাট এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘ব্যাপারী রাইস মিলের’ মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়।
এ সময় দোকানের সামনে বসে থাকা আব্দুর রহমান ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ও গাড়িতে থাকা ট্রাক মালিক ঝান্টু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ট্রাক চালক নুরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইনসার আলী মোল্লা বলেন, ব্যাপারী অটো রাইস মিলের সামনে দোকানে বসে থাকা আব্দুর রহমানকে চাপা দিয়ে ট্রাকটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে ট্রাকের মধ্যে থেকে ঝান্টু মিয়াকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ট্রাক চালক নুরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর থেকে শ্যামনগরে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নিহত ঝান্টু মিয়া ওই ট্রাকের মালিক।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাফায়াত হোসেন বলেন, ট্রাক দুর্ঘটনায় তিন জন হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ট্রাক চালক নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মণিরামপুুর থানার উপ-পরির্দশক লিটন বিশ্বাস বলেন, চালকের ঘুম ভাব থাকার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাকের চালক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মণিরামপুর থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহ দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।