বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ কিশোর-তরুণ বেকার রয়েছে। কাজ খুঁজছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ কিশোর তরুণ। জেলায় ১০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজে নিয়োজিত ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিত ৩৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া জেলায় গড় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়ে ০ দশমিক ৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা ২০১১ সালে ছিল ১ দশমিক ১১ শতাংশে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা রিপোর্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক উপ-পরিচালক উর্ব্বশী গোস্বামী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য মতে যশোর জেলার মোট গণনাকৃত জনসংখ্যা ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ২৪ হাজার ৩৪৯ জন এবং নারী ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৭ জন। ধর্মভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে যশোরের মোট জনসংখ্যার ৮৯ দশমিক ৬২ শতাংশ মুসলিম, ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ হিন্দু, ০ দশমিক ০১ শতাংশ বৌদ্ধ, ০ দশমিক ১৭ শতাংশ খ্রিস্টান ও ০ দশমিক ০১ শতাংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
জেলায় ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও ৭৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অপরদিকে, ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬৮ দশমিক ৩৫ শতাংশের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে এবং ৩৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।
যশোর জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ১৮০ জন। যশোর জেলার মোট খানার সংখ্যা ৭ লাখ ৯৮ হাজার ০৩২ যার মধ্যে ৬ লাখ ১৩ হাজার ০৪৮ টি পল্লী এলাকায় ও ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৪ টি শহর এলাকায় অবস্থিত। যশোর জেলায় বর্তমানে খানার গড় আকার ৩ দশমিক ৭৯ যা ১৯৯১ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫০ এবং ২০১১ সালে ছিল ৪ দশমিক ১৭। অপরদিকে, যশোর জেলায় বর্তমানে বাসগৃহের সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২১০ যার মধ্যে ৬ লাখ ৬ হাজার ৬৫০ টি পল্লি এলাকায় ও ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬০ টি শহর এলাকায় অবস্থিত।
যশোর যশোর জেলার অধিকাংশ খানা (৯৭.৫২শতাংশ) খাবার পানির উৎস হিসেবে গভীর/অগভীর টিউবওয়েল এর পানি ব্যবহার করে। এছাড়া ২ দশমিক ১৫ শতাংশের খাবার পানির উৎস ট্যাপ/পাইপ (সাপ্লাই)। যশোর জেলায় ৬৫ দশমিক ৬২ শতাংশ খানা টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করে/পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, ‘প্রথম ডিজিটাল জনশুমারিতে যশোরের শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সটিক চিত্র উছে এসেছে। মানুষের মধ্যে উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল এই জনশুমারি তথ্যের মাধ্যমে তা দূর হবে। সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, এসএম শাহীন, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নীলা প্রিয়া ময়ূরসহ যশোরের বিভিন্ন দপ্তর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।