বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের লেবুতলায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল কাদের ওরফে কনক নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে মামলার পর আবারও ওই চাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পিতা-মাতা।
আব্দুল কাদের ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা ও পরিবারের অভিযোগ থেকে তথ্য মিলেছে, বাঘারপাড়ার মথুরাপুরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী গত ২৮ জুন সন্ধ্যায় তার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় রাস্তায় বৃষ্টি শুরু হয়। পথিমধ্যে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি বন্ধ দোকানের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় মোটরসাইকেলযোগে আসা আব্দুল কাদেরও ওই দোকানে থামেন। এ সময় কনক নিজেকে বাহিনীতে চাকরি করেন মর্মে পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন।
একপর্যায়ে ওই ছাত্রী রাজি হলে তাকে মোটসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার সময় কুপ্রস্তাব দেন কনক। তখন ওই ছাত্রী মোটরসাইকেল থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে জোর করে ধরে লেবুতলা গ্রামের হারুন মোল্লার বাড়ির অদূরে মাঠের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর কান্নাকাটির একপর্যায়ে কনক মেয়েটির পরিবারের মোবাইল নাম্বার নিয়ে তার ১৬৪২-৫১২৮৪০ মোবাইল নাম্বার থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের ব্যবহার করা ০১৭৮৭-৮৪২০২১ নাম্বারে ফোন করে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ওই ছাত্রীকে হত্যারও হুমকি দেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে প্রতারক ঘটনাস্থলে ওই ছাত্রীকে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা বাবা মাকে জানালে তারা স্বজনদের সাথে আলোচনা করে ২৯ জুন যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন।
এদিকে থানায় অভিযোগ করায় এবং ঘটনা জানাজানি হওয়ায় অভিযুক্ত কনক ফোন করে ওই ছাত্রী ও তার বাবা মাকে হুমকি দিয়ে ঘটনা চেপে না গেলে অবস্থা খারাপ হবে বলে। পরবর্তীতে বুধবার শালতা ফুলবাড়ি ক্যাম্প ইনচার্জ আমিনুর রহমান আব্দুল কাদের ওরফে কনককে আটক করেন ।
এ ব্যাপারে যশোর কেতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আটক কনক সিলেট এলাকায় কর্মরত একটি বিশেষ বাহিনীর সদস্য।