বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে আলাদা স্থানে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন মাদ্রাসার ছাত্র, একজন নারী ও একজন পশু চিকিৎসক রয়েছেন।
যশোরের শার্শায় বাসচাপায় একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। পেশায় তিনি এক পশু চিকিৎসক। অপর একটি ঘটনায় যশোর নড়াইল সড়কে একটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিবহন কাউন্টারের মধ্যে ঢুকে পড়লে অবস্থানরত এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগুড়ি বেলতলার মুড়ির মিল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান নাভারন হাইওয়ে থানার ওসি জয়ন্ত কুমার দাস।নিহত আলমগীর হোসেন (৪২) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কিসমত ইলিশপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ওসি জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, বাগআঁচড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাভারন- সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগুড়ি মুড়ির মিল নামক স্থানে পৌছালে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দেয়।এতে ঘটনাস্থলেই আলমগীর হোসেনের মৃত্যু হয়।
মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।দুর্ঘটনা কবলিত বাস এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।বাসের চালক ও তার সহকারি পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে যশোরের বাঘারপাড়ায় যশোর নড়াইল মহাসড়কের করিমপুর ধলগা রাস্তার মোড়ে নড়াইল থেকে যশোরগামী কেমিকেল হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট- ১৪-৭২১৪) বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধলগা রাস্তার মোড়ে রাস্তার পাশের পরিবহন কাউন্টারের ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ সময় কাউন্টারে থাকা ঢাকাগামী যাত্রী বাঘারপাড়ার রোকসানা খানম পুতুল (৩০) নিহত হয়েছেন। নিহত পুতুল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের চেচুয়াখোলা গ্রামের জাফর ফকিরের মেয়ে। তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন মরদেহ যশোর মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের কোদলাপাড়া মাদ্রাসা মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় চলন্ত ইজিবাইকের সাথে ধাক্কায় কোদলাপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের শিশু ছেলে আরাফাত হোসেন (৭) নিহত হয়েছে।
শিশু আরাফাত স্থানীয় নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার পর ইজিবাইক ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।