বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে ইজিবাইক চালক আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামিদের পরিবার ও সন্ত্রাসীদের অব্যহত হুমকির ভয়ে দিনাতিপাত করছেন মামলার বাদী মৃতের বাবা মোজাদ্দাদুজ্জমানসহ তার পরিবার।
গত ১০ নভেম্বর ২০২১ যশোর সদরের ঘুরুলিয়া গোপালপুর গ্রামের কাচা রাস্তায় আব্দুল্লাহ (১৮) নামের ইজিবাইক চালক তরুনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ। ভিকটিম একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছিল। বাড়িতে অভাব অনটনের জন্য সে ইজিবাইক চালাত। ওই ঘটনায় তার যশোর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই আসামি জাকির হোসেন (১৯), আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৯), হাসিবুর রহমান হাসিবকে (২০) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় মৃতের মোবাইল ও ইজিবাইক ছিনতাই করতেই তারা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন।
এই মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত যশোর কোতয়ালি থানার কর্মকর্তা এসআই আনসারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলা চার্জশিট দেয়া হয়েছে গত ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি। পরে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হয়েছে গত ২৩ জুন। যার মামলা কোর্টে চলমান।
মামলার আসামী পক্ষের এ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন এই মামলার আসামি তিনজনের একজন কোর্টে শিশু হিসাবে সাব্যস্ত হয়েছে। এর মধ্যে জাকির হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিনে আছে। প্রধান আসামি হাসিবুর রহমান এখনও জেল হাজতে আটক আছে। আগামী ৭ আগস্ট মামলার শুনানী দিন ধার্য্য আছে।
এদিকে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা চললেও জামিনে থাকা আসামি জাকির, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তাদের পরিবার ও হাসিবুরের পরিবারের পক্ষের লোকজন বাদীপক্ষকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটি এখন বিচারহীনতায় ভুগছে।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, মামলার তিন আসামিকেই আটক করে এখন জেল হাজতে পাঠনে হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। এখন বয়স বেশি কমের বিষয় বা তাদের জামিনের বিষয়টি পুলিশের নয়। এছাড়া এসব বিষয় এখন আদালতের এখতিয়ারে। আমাদের কাছে বাদি ও তার পরিবার আসামিদের অব্যাহত হুমকির বিষয়ে জানিয়েছেন, আমরা এ ব্যাপারে সতর্কতার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের শাস্তি পাইয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর ।