বাংলার ভোর ডেস্ক
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকালে চীনের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপলে’ তাদের এ বৈঠক হয় বলে বাসস জানিয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানের চীন সফরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হল। রাতেই চীন থেকে দেশের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সকালে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধি দল কয়েকটি সমঝোতা স্মারকসহ (এমওইউ) ২১টি দলিলে সই করে।
অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে এসব দলিল সই হয়েছে।
চীনা প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাধান্য পেয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাণিজ্য ও উন্নয়নে সহযোগিতার মত বিষয়গুলো।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত সফরের দুই সপ্তাহ পর চীনের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকালে দ্বিপক্ষীয় সফরে বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা।
চীনে এটি তার চতুর্থ সফর; এর আগে ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দেশটিতে সফর করেন তিনি।
এবার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে চীনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিন সাং-গ্রি-লা সার্কেলে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চতুর্দশ জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের বিপ্লবী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন।
বুধবার সকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক ও দলিল সই করেন।
বিকালে প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাতে দেশের পথে রওনা হচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।