কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
বিএনপির অফিস পোড়ানোর ঘটনায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, এমপির পিএস ও প্রায় সবকটি ইউপির চেয়ারম্যানসহ ৯৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৪শ’ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। কালীগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং- ৮/ তাং -২৩/০৮/২৪।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত আসামিরা পেট্রোল বোমা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি ও লাঠিসোঠাসহ দেশিয় অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে শহরের থানা রোডে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অফিসে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা অফিসের মধ্যে মুহুর্মুহু বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ ছাড়াও পেট্রোল দিয়ে আসবাবপত্র জ¦ালিয়ে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাদী নিজেসহ আরো কয়েকজন গুরুতর জখম হয়। আসামিদের দেয়া আগুনে বিএনপির অফিসের ২শ’ টি চেয়ার ও দরজা, জানালাসহ আট লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতি হয়।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার পর থানাতে এসে বাদী ওই এজাহারটি দাখিল করেন। এজাহারে আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিবলী নোমানী, পৌরসভার মেয়র ও পৌর আ.লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম, সাবেক মেয়র ও জেলা আ.লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সম্পাদক গোলাম রসুল, আ.লীগের সাবেক এমপির পিএস আব্দুর রউফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওহিদুজ্জামান অদু ও মতিয়ার রহমান মতি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা রাশেদ শমসের, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বর, একাধিক পৌর কাউন্সিলরসহ ৯৪ জন আ.লীগের নেতাকর্মীর নাম রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবু আজিফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জনৈক জাহিদুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।