বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়নবাসি নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ রয়েছে। সাথে সাথে বন্ধ রয়েছে জন্ম সনদ, নাগরিক সনদ, ওয়ারেশ কায়েম সনদ, মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদনসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ।
ফলে জরুরি প্রয়োজনে সেবা নিতে আসা নাগরিকরা ফিরছেন হতাশা নিয়ে। কবে নাগাদ এই সব সেবা চালু হবে বলতে পারছেন না স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদেও সচিব ও ডিজিটাল সেন্টারের দায়িত্বে থাকা উদ্যোক্তারাও।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, নাগরিক সেবা নিতে আসা ব্যক্তিরা সেবা না পেয়ে বাসায় ফিরছেন। কাজ না থাকাতে আলস সময় পার করছেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও সচিব।
কথা হয় উপশহর ১ নম্বর সেক্টরের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মারুফ হুসাইনের সাথে। তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে আবেদন করবেন তিনি। কিন্তু নাগরিক সনদ না থাকার কারণে আবেদন করতে পারছেন না। ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সনদ নিয়ে এসে চেয়ারম্যান না থাকার কারণে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাকে।
উপশহর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা জাহানারা আরজু বলেন, তারা বেতনভুক্ত না। কাজের বিনিময়ে সম্মানি পান। চেয়ারম্যান না থাকার কারণে অনেক সেবামূলক কাজ করতে পারছেন না তারা। ফলে জমানো টাকায় নিজের ও সংসারের খরচ চালাতে হচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শহিদ ইকবাল বলেন, ১৪ তারিখ থেকে চেয়ারম্যান অফিস করছে না। যে কারণে অনেক কাজ তারা করতে পারছে না। তার স্বাক্ষর ছাড়া অনেক বিষয়ে কাজ করা সম্ভব না। নাগরিকদের সেবা না দিতে পেরে তারাও অস্বস্তিতে আছেন। সদর উপজেলার সব ইউনিয়নের সচিবরা মিলে রেজুলেশন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও কাছে জমা দিয়েছেন তারা। তারা মনে করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন,আশা করা যায় সামনের সপ্তাহ থেকে পুরোদমে আবার নাগরিক সেবা দিতে পারবেন তারা।
এ বিষয়ে উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হক লিটু বলেন, এক সপ্তাহ অফিস করতে পারছি না। দ্রুত অফিস শুরু করবো। নাগরিকদের উপর চেয়ারম্যান হিসেবে যে দায়িত্ব আছে তা অবশ্যই পালন করবো।