কালিগঞ্জ সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দ্বৈত নাগরিক শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সরকারের দাপটে অতিষ্ঠ বৃদ্ধা মাসহ ভাইবৌ, ভাইঝি। প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও থেমে নেই ওই অসৎ ও পরসম্পদলোভী স্কুল শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সরদারের লোলুপতা। সে সন্তোষ সরদারের ছেলে।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের অতি চালাক ও ধুরন্ধর নারায়ণ চন্দ্র সরদার ১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ উপজেলার বড়শিমলা কারবালা হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিতে যোগদান করেন। অথচ তখনও তিনি ভারতের নাগরিক ছিলেন। এই দ্বৈত নাগরিক তার প্রয়াত ভাই স্কুল শিক্ষক গোলক চন্দ্র সরদারের প্রায় ১৬ লাখ টাকা, ভিটাবাড়ির আমসহ বিভিন্ন ফসলের বিক্রিত প্রায় ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে বৃদ্ধা মা আরতি সরদারসহ ভাইবৌ লিপি সরদারকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া তিনি নিয়োগ বিধি, দেশের প্রচলিত আইন ও দেশের সংবিধান অমান্য করে তথ্য গোপন করে চাকরির বেতন ভাতাদি উত্তোলনসহ দুই বাংলার সুযোগ সুবিধা নিয়েই চলেছে।
নির্ভরশীল সূত্রে প্রকাশ নারায়ন চন্দ্র সরদার স্ত্রী, কন্যা ও তার বোন ভারতের ২৪ পরগোনার বসিরহাটের খোলাপোতার রামনারায়নপুরে বসবাস করছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে প্রয়াত স্কুল শিক্ষক গোলক চন্দ্র সরদারের স্ত্রী আরতি সরদার ও সমাজসেবক আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন সচেতন ব্যক্তি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও অজ্ঞাত শক্তির জোরে বিগত সরকারের আমলে তিনি পার পেয়ে যান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম নাঈমের পরিষদে বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও আলোর মুখ দেখেনি ভুক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপরে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলেয়া খাতুন, ভাড়াশিমলা কৃষি ক্লাবের সভাপতি আব্দুস সবুর বিশ্বাস, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল কাদেরসহ মনিন্দ্র হাজরা ও কমল সরদাররা জানান, নারায়ণ চন্দ্র মূলত ভারতীয় নাগরিক। চাকরির সুবাদের তিনিই শুধু এদেশে আছেন। বর্তমানে তিনি প্রয়াত গোলক চন্দ্র সরদারের জমি বিক্রির পায়তারা করছেন। এ ঘটনায় ভাইবৌ আরতি সরদার ও তার দুই সন্তান তাদের সম্পত্তি ও টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র সরকারের সাথে কথা বলার জন্যে তার ব্যবহৃত ০১৯১৪ ৭১৭ ৪৫০ নম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।