নড়াইল সংবাদদাতা
নড়াইলে নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পর শিমুল গাজী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার শিমুল গাজীর ঘরের মাটি খুঁড়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নড়াইল সদর উপজেলার শেখাটি ইউনিয়নের কাইজদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে শিমুলের স্ত্রী পলি বেগম ও বন্ধু আজাদ শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শিমুল কাইজদাহ গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিমুল কৃষিকাজ করতেন। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী পলি বেগমকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি নিখোঁজ হন। খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে গত শনিবার স্থানীয় শেখাটি পুলিশ ফাঁড়িতে জিডি করেন শিমুলের ছোট ভাই ইমরুল ইসলাম। সোমবার ভাইয়ের ঘরের এক কোণে নতুন মাটি দেখে ইমরুলের সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে জানান। পুলিশ ঘরের মাটি খুঁড়লে শিমুলের মরদেহ বেরিয়ে আসে।
ইমরুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই নিঃসন্তান ছিলেন। ভাইয়ের বন্ধু প্রতিবেশী ঘের ব্যবসায়ী আজাদ শেখের সঙ্গে তাঁর ভাবির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। অনেক সময় রাত ৯-১০টা পর্যন্ত তারা একসঙ্গেই থাকতেন। ভাই হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের ভাষ্য, পলি বেগম তার স্বামীকে হত্যা করে নিজ ঘরের মধ্যে মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। স্বামীকে হত্যায় প্রতিবেশী আজাদ শেখ তাকে সহায়তা করেছেন বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
সদর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। পলি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।