নড়াইল সংবাদদাতা
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে সরকারকে বিদায় নিতে হবে। ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হলেও তাদের প্রেতাত্মারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে নানারকম ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ নতুন করে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে।
শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিগত সময়ের সরকার প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দালালদের চিহ্নিত করে অপসারণ এবং অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নেয়ায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মুক্তি পেয়েছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বলেন, ৫ আগস্টের স্বাধীনতার পর সারা বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন জামায়াতে ইসলামীকে দায়িত্ব দিতে প্রস্তুত।
নড়াইল জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগরের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, মাগুরা জেলা আমির এম.বি বাকের, সাবেক জেলা আমির মাওলানা র্মিজা আশেকে এলাহি, নূরুন্নবী জিহাদী, মাগুরা জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাইদ আহম্মেদ বাচ্চু, নড়াইল জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আইয়ুব হোসেন খান, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, আবুল বাশার, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আলমগীর হোসেন, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, জাকির হোসেন বিশ্বাস, মুহাম্মদ খিয়াম উদ্দিন, আকিদুল ইসলাম, হেমায়েতুল হক হিমু, মুশফিকুর রহমান, হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাস্টার মিজানুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা থেকে আগত ১২ শত নারী ও পুরুষ রুকন সদস্যরা।