কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ১৬ মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন। তদুপরিও ২০২৩ সালের ১২ মার্চ যোগদানের পর থেকে ওই পরিত্যক্ত ভবনেই বসবাস করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। এদিকে কোন দুর্ঘটনার দায় নিতে চান না উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১ আগস্ট কোটচাঁদপুর উপজেলার উদ্বোধন করেন সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ড. আবদুল মজিদ খান। ওই সময়ই নির্মিত হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবনটিও। সেই থেকেই ভবনটিতে বসবাস করে আসছিলেন উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ। ৪৩ বছর পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঝিনাইদহের স্মারক নং-১৯৪; তারিখ: ১৬ মার্চ ২০২৩ ইউএনও ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরপর গত ৩০ মে ২০২৩ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। নির্দেশ দেয়া হয় সকল বিধি-বিধান পরিপত্র/সার্কুলার যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক নিলামে বিক্রির। দীর্ঘ ১৬ মাস পার হয়ে গেলেও নিলাম করা হয়নি ভবনটি। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ওই ভবনটিতেই বসবাস করছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন, ভবনে বসবাস করার জন্য একটা রেজুলেশন করা আছে। যা আমার আসার আগে করা।
আর ভবনটি কনডেম করা আছে এটাও আমি জানি। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনাও হয়েছে, কিভাবে কি করা যায়। তিনি আমাকে বলেছেন, ভবনের অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। কিছু সার্ভিসিং করিয়ে বসবাস করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু ভবনটি কনডেম ঘোষনা করা হয়েছে, সেহেতু ওনার ওই ভবনে থাকাটা নিরাপদ নয়। তারপরও উনি স্বেচ্ছায় ভবনটিতে থাকছেন। হঠাৎ যদি ওই ভবনে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তার দায়ভার আমার না নেয়া উচিত। এরপরও উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না।
এ অবস্থায় আপনি কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তো একটা নিরাপদ জায়গারও দরকার আছে। আর নতুন ভবনের বরাদ্দ আসা না আসা নিয়ে কোন নির্দেশনা আমার কাছে নেই। এরপরও বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন বলেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লার সময় ভবন টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একাধিক বার বলার পরেও বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ভবন টি নিলাম করেনি কতৃপক্ষ। শুধু নির্বাহী অফিসারের ভবনি না। অফিসার কোয়ার্টার গুলোর বেহাল দশা সেগুলো নিলামে তুলে নতুন ভবন করা হলে সরকার রাজস্ব পেতো। অফিসারদের বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হতো না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, ইউএনও ভবনটি কনডেম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আমি কোন ঝুঁকি মনে করছি না। আর মরে গেলে তো আমিই মারা যাব। এটাতে তো কারোর কোন সমস্যা নাই।