কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর চলমান তীব্র ভাঙনে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও অস্থায়ী বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে দেখা গেছে, উলিপুর উপজেলার ১২ নং বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আকেল মামুদ খুদিরকুটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও অস্থায়ী বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস বৃহস্পতিবার রাতে সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক বিলীন হওয়ার ৩ দিন পর খুদির কুটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও অস্থায়ী বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস বিলীন হয়ে গেল।
এতে করে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেলদার, জাকির হোসেন, শাহানুর, নুর আলম, রতন, মিজানুর রহমান, আমিনুলসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক দিনের ভাঙনে প্রায় ২ শত পরিবারের বসতভিটা, কয়েক’শ একর আবাদি জমি, পারিবারিক কবরস্থান বিলীন হয়েছে। অনেকে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থায় বাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বর্তমান ভাঙ্গনের সম্মুখীন খুদিরকুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ শত শত বসত বাড়ি ও আবাদি জমি। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান বেগমগঞ্জে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সবসময় খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এবং আমাদের লোক পাঠাচ্ছি সরকারিভাবে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা আমি ইনশাআল্লাহ করব ও করে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, সব সময় খবর নিচ্ছি। ভাঙ্গন রোধে সাড়ে আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলমান রয়েছে।