সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করে বাদী তানিয়া খাতুন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও মিলছে না কোন আইনী প্রতিকার। এতে করে তিনি পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বাস করছেন অন্যত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার কালাবাড়িয়া, রামনাথপুর গ্রামের রুহুল আমিনকে গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রামনাথপুর শরত বাবুর মৎস্য ঘেরের সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তানিয়া খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ৭ নং আদালতে মামলা করলেও অদ্যাবধি কোন আসামি আটক হয়নি। এ অবস্থায় আসামিরা বাদীকে প্রাণনাশেও হুমকি দিচ্ছে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে পরিবারসহ নিশ্চিহ্ন করে দেয়ারও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বাদীর। এছাড়াও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রধান আসামি সাকিলকে মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
এ অবস্থায় সুষ্ঠু তদন্ত ও নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ খুলনা রেঞ্জ (ডিআইজি), সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্প অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
তানিয়া জানান, কোন আইনী সহায়তা না আমার সন্তান সহ পরিবারের লোকজন নিয়ে ২মাস জাবত বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি জীবন বাঁচানোর জন্য। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির ব্যবহৃত মালামালসহ মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবহাটা থানার সাব ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদনকে বলেন, আমি বাদীকে কিছু বলিনি এবং মামলা থেকে কোন আসামিকে বাদ দেয়ার কথাও হয়নি। আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন বলে ফোন কেটে দেন। তিনি আরও বলেন বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তারা দেখভাল করছে, উনাদের পরবর্তী আদেশ মোতাবেক আসামিদের ধরার জন্য যৌথ বাহিনী অভিযান চালাবে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম মূনীর গণমাধ্যমকে বলেন অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। যদি মামলার আইও বাদীকে অসহযোগিতা করে সে বিষয়টিও দেখা হবে।