বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বিএসটিআইয়ের কমকর্তাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানাতে দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম দেখাতে না পেরে ক্ষুব্ধও হন সংশ্লিষ্টরা। একই সাথে ভোক্তাদের সঠিক পণ্যের নিশ্চয়তার জন্য বিএসটিআইয়ের দৃশ্যমান কার্যক্রম বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে বিশ্ব মান দিবসের আলোচনা সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসটিআই উপপরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখ।
“সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই, উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে মান” এ স্লোগান নিয়ে আলোচনা সভায় প্রথমে উন্মুক্ত আলোচনায় লৌহ সিমেন্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসার বলেন, যশোরে যে বিএসটিআই কোন অফিস আছে আমরা জানতাম না।
তাদের মান নিয়ে কোন কাজ করতে দেখি না। মিষ্টির দোকান, উৎপাদনমুখি কারখানাতে কোন নজরদারি নেই। মাছ মাংস ওজন কম দেয়া বা সেগুলোর মান নিয়েও কাজ করতে দেখি না এই প্রতিষ্ঠানটির। দপ্তরটির কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনও। তিনি বলেন, ‘বিএসটিআইয়ের কাজ দেখি শুধু ফিলিং স্টেশনগুলোতে। তারা সেখানে তেলের ওজন কম দিলে জরিমানা করতে দেখি। কিন্তু জেলায় আরোও উৎপাদনমুখী কার্যক্রমগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করতে দেখি না।
তোপের মুখে পড়ে আলোচনা সভায় বিএসটিআই উপপরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখ বলেন, ‘আমরা অনেক কাজই করি। স্বল্প জনবলের কারণে কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। সম্প্রতি ৬টা ফিলিং স্টেশনে তেলের ওজন কম দেয়াতে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, দেশের পণ্যের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এই কারণে আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছি।
খাদ্যপণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সতর্ক থাকতে প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। যে যে উৎপাদিত পণ্যের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বা হবে তার নমুনা দেয়ার সময় ও নিয়মিত উৎপাদনে সঠিক মান আছে কিনা তারও তদারকি করতে বলেন। পেট্রোল পাম্পের তেল-গ্যাস মাপে পরিমাণ ঠিকমত দিচ্ছে কিনা তার তদারকি করতে বলেন। এ সময় আফিল গ্রুপের পরিচালক মাহবুবুল আলম লাবলুসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী বৃন্দ এবং বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।