ঝিকরগাছা সংবাদদাতা
নেশাখোর বিধবা চম্পা খাতুন (২৬) নেশার টাকা যোগাড় করতে শিশু সাদিয়ার (৬) কানের দুল নিয়ে পাশের বাগানে মেরে ফেলে রেখে দেয়। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় চম্পা খাতুনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উভয়ের বাড়ি হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামে। সম্পর্কে এরা ফুফু ভাইজি। বুধবার বিকেলে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশু সাদিয়ার মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামের দক্ষিণপাড়া আবুলের মোড়ে বাগানের মধ্যে সাদিয়া খাতুনকে (৬) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পিতা বাবলুর রহমান বাবু।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১ টার পর থেকে মেয়ে সাদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির পর রাতে বাড়ির পাশে ঝোপের ভেতরে মেয়েটির মরদেহ পাওয়া যায়। তার চাচাতো বোন নেশাখোর বিধবা চম্পা খাতুন (২৬) কে নিয়ে বাবলুর রহমান বাবুর সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা চম্পা খাতুনকে পুলিশের হতে তুলে দেয়। বিধবা নেশাখোর চম্পা খাতুন স্বীকার করে যে, শিশু সাদিয়ার কানের দুল নেয়ার জন্য তার গায়ে থাকা গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করি।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান জানান, শিশু সাদিয়া খাতুনের কানের দুলের লোভে নেশাখোর বিধবা চম্পা খাতুন তাকে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য যশোর রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
##