# ক্যাম্পাস থেকে ৫ কি.মি দূরে ক্লিনিক্যাল ক্লাস
# দ্রুত হাসপাতাল বাস্তবায়নে আশ্বাস ডিজির
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর মেডিকেল কলেজে ১৪ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি হাসপাতাল। এতে আধুনিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেযশোরের মানুষ।একই সাথেশিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ক্লাস করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর যশোরবাসীকে আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের সকল কাজ সম্পন্ন। কেবিনেটে পাস হলেই কাজ শুরু হবে।
জানা যায়, চারদলীয় জোট সরকারের সময় তৎকালীন মন্ত্রী যশোর অঞ্চলেরর উন্নয়নের কারিগর গণমানুষের নেতা তরিকুল ইসলামের প্রচেষ্টায় ২০০৬ সালে যশোরে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমোদন দেয়। তবে অনুমোদনের চার বছর পর যশোর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে হরিণার বিলে ৭৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণও করা হয়। ২০১০-১১ সেশনে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। অস্থায়ীভাবে যশোর জেনারেল হাসপাতালে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৬ সালের আগস্টে হরিণার বিলে নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজের কার্যক্রম চালু হয়। এরপর ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও মেডিকেল কলেজটির হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। যশোরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে একপর্যায়ে ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অনুমোদন করা হয়। যশোর, কক্সবাজার, পাবনা ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য একজন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দিয়ে টাকা বরাদ্দও করা হয়। তবে আজ পর্যন্ত যশোরে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কোন কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
যশোর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, মাসে ২৫দিন থিউরিটিক্যাল ও প্রাকটিক্যাল ক্লাস করতে হয়, ক্যাম্পাস থেকে হাসপাতাল ৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় রাতে যাওয়া-আসা করার সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। সব ক্লাসে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয় না। তারা অবিলম্বে কলেজের সাথে হাসপাতাল স্থাপনের দাবি করেন।
যশোর মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আযম সাকলায়েন বলেন, তৃতীয় বর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস শুরু হয়। এমবিবিএস পাশ করার পর ইন্টার্ন শুরু হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যায় ক্লিনিক্যাল ক্লাস থাকে। ক্যাম্পেসের বাইরে জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে সীমিত পরিসরে এসব কাজ করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজের সাথে হাসপাতাল থাকলে যশোর অঞ্চল তথা যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইলের মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা পেতো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, যশোর মেডিক্যাল কলেজের সাথে হাসপাতাল করার দীর্ঘদিনের দাবি এখানকার মানুষের। এ হাসপাতালের বাস্তবায়ন অনেক দূর এগিয়েছে। এ প্রকল্প বর্তমানে কেবিনেটে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। কেবিনেটে পাস হলেই কাজ শুরু হবে।