বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দায়িত্বভার ব্যবসায়িদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২ বছর পর শনিবার রাত নয়টার দিকে যশোর ক্লাব মিলনায়তনে নবনির্বাচিত পর্ষদ সদস্যদের পরিচিতি ও কার্যভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ব্যবসায়িদের কাছে সংগঠনের দায়িত্বভার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সংগঠনের প্রশাসক এস এম শাহীন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূল, সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান প্রমুখ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান বলেন, যশোর সম্ভাবনাময় ব্যবসায়ী শহর। কিন্তু এতোদিন চেম্বার কার্যকর থাকায় বিনিয়োগকারীরা এই শহরে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হয়নি। এখন চেম্বারের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসায়িদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়া হবে।
নবনির্বাচিত কমিটির উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ি চিন্ময় সাহা বলেন, এক যুগ পরে ব্যবসায়িদের সংগঠন ব্যবসায়িদের হাতে এলো। বর্তমান কমিটি যেন দুই বছর পরে একটি কার্যকরী নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করে।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে ১৯ সদস্যর কমিটির পদ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ৩০ নভেম্বর যশোর চেম্বারের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গত ২৬ অক্টোবর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে অন্য কোন প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা না দেয়ায় মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্ব প্যানেল বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় জয়ী হয়।
২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল যশোর চেম্বারের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জেলা বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয়ী হয়। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসনের একজন প্রশাসক।
চেম্বার অব কমার্স সূত্রে জানা গেছে, গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব ও আদালতে মামলা থাকার কারণে গত এক যুগ ধরে যশোর চেম্বারের নির্বাচন হয়নি। ১০ বছর ধরে প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যবসায়িদের এই শীর্ষ সংগঠনটির কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হয়।