বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর সার্কেলের নেতৃত্ব পেলো ঠান্ডু-বাপ্পি পরিষদ। সাত বছর পর অনষ্ঠিত নির্বাচনে তাদের প্যানেল নিরঙ্কুশ পেয়েছে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের নেতৃত্বে থাকা কাসেদুজ্জামান সেলিম ও এজাজ উদ্দিন টিপুর প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনে ২৫ পদের মধ্যে ঠান্ডু-বাপ্পি পরিষদের ২০ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে অপর প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন ৫ জন। রাতভর ভোট গণনা শেষে শুক্রবার সকালে এ ফলাফল ঘোষনা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক।
নির্বাচনে ঠান্ডু বাপ্পী প্যানেলের সর্বোচ্চ ভোট ৬২৪ পেয়ে প্রথম হয়েছেন রাজু আক্তার, দ্বিতীয় হয়েছেন ৬১৪ ভোট পেয়ে শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু। সেলিম-টিপুর প্যানেলের টিপু ৬০৮ ভোট পেয়ে ৩য় হয়েছেন, ৪র্থ হয়েছেন ঠান্ডু বাপ্পী প্যানেলের শাকিল আহম্মেদ (৫৩৪), ৫ম মনিরুজ্জামান দিলু (৫২৯), ষষ্ঠ মো: তুহিন (৫২৩), ৭ম অলিয়র রহমান(৫১১), ৮ম আব্বাস আলী (৫০২), ৯ম আব্দুর রহিম (৫০১), ১০ম আব্দুল আলীম (৪৯১), ১১তম সেলিম রেজা বাপ্পি (৪৮৯), ১২তম উজির হোসেন (৪৭২), ১৩তম হয়েছেন সেলিম টিপু পরিষদের আব্দুল আলীম চৌধুরি (৪৬৯), ১৪তম ঠান্ডু বাপ্পী প্যানেলের সুলতান আহম্মেদ (৪৬৯), ১৫তম হয়েছেন নাজিম আহম্মেদ (৪৬৮), ১৬তম শেখ আলাউদ্দিন (৪৫৯), ১৭তম আজিজুল ইসলাম (৪৫৮), ১৮তম সেলিম টিপু প্যানেলের আবেদ আলী তপু (৪৫৫), ১৯তম ঠান্ডু বাপ্পী প্যানেলের হুমায়ন কবির রাজিব (৪৪৭), ২০তম মশিয়ার রহমান (৪৪৫), ২১তম শাহ নেওয়াজ রুশো (৪৪৩), ২২তম আবুল হাসান (৪৪০), ২৩তম সেলিম টিপু পরিষদের রেজওয়ান আহম্মেদ (৪৩৫), ২৪তম একই প্যানেলের মুরাদ চৌধুরী (৪৩৩) ও ২৫তম হয়েছেন ঠান্ডু-বাপ্পী পরিষদের হাফিজুর রহমান হাফিজ (৪৩৩)।
দীর্ঘ সাত বছর পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের জন্য নেতা নির্বাচন করেছেন। রাতভর গণনা শেষে সকালে ফলাফল ঘোষনা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ৯৪৭ জন ভোটারের মধ্যে ৯২৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা ফলাফল ঘোষনা করেছি। এবার বিজয়ী প্যানেল তাদের নেতৃত্ব সিলেকশন করবে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নেয়। এছাড়া, দু’জন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৫টি পদের বিপরীতে ৫২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মো. সবুজ পেয়েছেন ২২৫ ও সাদ্দাম হোসেন জিতু পেয়েছেন ২১৬ ভোট।
নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও তালবাড়িয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইবাদত হোসেন।