বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের দোকান খুলে টোটকা মলম বিক্রি করেছে। কিন্তু ইতিহাস সেটা নয়। তাদের ইতিহাস পলায়নের। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুথানের পর তারা পালিয়েছে। কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭১’র পরে গাছের পাতাও বাকশাল ছিল। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তাদের নেতার লাশ পড়ে থাকলেও সকলে পালিয়ে গেছিলো। তাদের স্বভাব কিছু হলেই তারা লেজ তুলে মামু বাড়িতে পালিয়ে যায়। বুধবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শেখ মুজিব ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ওটা ছিল প্রধানমন্ত্রীত্ব প্রাপ্তির ভাষণ। তবে ওটা ওনার জীবনের শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা ছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা হলে ওই জনসভা থেকে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তো। স্বাধীনতার ঘোষণা এসেছিল জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে। তার ঘোষণায় উদ্বেলিত হয়ে বাংলার জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নরেন্দ্র মোদি বলছে এদেশের সাত কোটি মানুষের বিজয়ের ইতিহাস নাকি তাদের। মোদির এ ঔদ্ধত্যের দায় শুধু আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করে। এখানে কোন রায়ট হবে না। একাত্তর, পচাত্তর, একানব্বই ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি জনগণের কাছে ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সামনে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আসবে। কিন্তু তাদের জায়গা বিএনপিতে হবে না। আপনারা আনন্দ উল্লাস মেতেন না। ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এজন্য মানুষের ভালোবাসা অর্জনের চেষ্টা করেন।
আরও বক্তব্য দেন বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ।